রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন
মো. তৌহিদুল ইসলাম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ।।
উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর চৌকিদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে সে প্রায় কয়েকশ সরকারী গাছ তার ব্যক্তিগত পুকুরে পায়লিং এর কাজে ব্যবহার করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসজাসে এধরনের কাজ করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে অজানা কারনে তারা থাকেন নিরব ভূমিকায়। মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা দীর্ঘ বছর ধরে একই স্থানে কর্মরত থাকার জন্য এমষ ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামের অভিযুক্ত জাহাঙ্গির চৌকিদারের বাড়ির পুকুরের চারপাশে সরকারী বনের বিভিন্ন প্রজাতীর গাছ পুঁতে গত দুই সপ্তাহ ধরে পাইলিং এর কাজ চলছে। কিভাবে বিপুল সংখ্যক সরকারী গাছ তিনি তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। তবে, বন কর্মকর্তাদের সাথে অর্থ সক্ষতার মাধ্যমে ম্যানেজ করেই ওই গাছগুলো ব্যবহার করেছেন বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।
দীর্ঘ বছর ধরে ওই কর্মস্থলে বন কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে কর্মরত আছেন বলে বিভিন্ন অসাধু লোকের সাথে অবৈধ অর্থ সখ্যতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এরফলে, ওই অসাধু ব্যক্তি তার কাছ থেকে অবৈধ উপায় সরকারি বন উজাড় করে গাছ পেয়ে যাচ্ছেন অনায়াসে।
গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, অভিযুক্ত জাহাঙ্গির চৌকিদারসহ আরো বেশ কয়েকজন রেঞ্জ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে রাতের অন্ধকারে সরকারী বন উজাড় করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে। এ ব্যাপারে বন কর্মকর্তাদের জানিয়েও আমারা কোন প্রতিকার পাইনি । তারা থাকেন নিরব ভূমিকায়।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গির চৌকিদার জানান, তিনি কোন সরকারি গাছ কেটে আনেন নি।
মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন , সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার এমন ঘটনা সত্য নয়। এমন কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা তিনি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।